"গোপন গুহার গল্প"
একটি গ্রামের নাম ছিল নয়নপুর। সেই গ্রামে বসবাস করতো এক ছোট্ট বালক, যার নাম ছিল অনিক। অনিকের ছিল এক অসাধারণ স্বভাব—তার প্রচন্ড কৌতূহল ছিল গ্রামের পুরানো বাড়ি এবং ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কে। তার বাবা প্রায়ই বলতেন, “অনিক, এসব পুরানো জিনিসের পেছনে সময় নষ্ট না করে লেখাপড়ায় মন দাও।” কিন্তু অনিকের মন সবসময় চলে যেত সেই পুরনো রহস্যময় বাড়িটির দিকে যেটি গ্রামের প্রান্তে অবস্থিত ছিল। একদিন সে সিদ্ধান্ত নিল যে সে বাড়িটি এক্সপ্লোর করবে। সে তার বন্ধু রিনিকে সঙ্গে নিয়ে গেল। রিনি প্রথমে ভয় পেলেও অনিকের উৎসাহে রাজি হয়ে গেল। তারা দুজন বিকেলের দিকে বাড়িটির কাছে পৌঁছাল। বাড়িটি একটি বৃহৎ বাগান দ্বারা ঘেরা ছিল, যেখানে অনেক বুনো ফুল এবং ঘাস জন্মেছিল। তারা সাহস করে ভেতরে প্রবেশ করল। ভেতরে পুরোনো আসবাবপত্র এবং ছবির ফ্রেম ছিল, যা ধুলো এবং মাকড়সার জালে ঢাকা ছিল। অনিক একটি পুরানো বইয়ের তাক খুঁজে পেল এবং সেখান থেকে একটি মলাট ছাড়া পুরনো ডায়েরি বের করল। ডায়েরিটি খুলতেই তারা দেখতে পেল যে এটি বাড়ির পূর্বতন মালিক রাজেন বাবুর লেখা। ডায়েরিতে লেখা ছিল তার জীবনের কাহিনী এবং বাড়ির ইতিহাস। কিন্তু ডায়েরির শেষ